গোলাপ চাষে ভাগ্য বদল
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
গোলাপ ফুলচাষে ভাগ্যবদল হয়েছে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবারের।পতিত কিংবা কম ফসল উৎপাদন হওয়া জমি থেকে এখন আয় হচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
তবে ফুল চাষিরা বলছেন, আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি ও উন্নত কৃষি উপকরণ ব্যবহার করতে পারলে উৎপাদন আরও বাড়বে। এছাড়া, বিপণন সুবিধা বাড়ানোর পাশাপাশি রপ্তানির সুযোগ পেলে দেশের অর্থনীতিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সম্ভব বলেও দাবি তাদের।
বিরুলিয়া ইউনিয়নের প্রায় সবকটি গ্রামে কমবেশি ফুলচাষ হয়। তবে এর মধ্যে মোস্তাপাড়া, বাগ্নিবাড়ি ও শ্যামপুর গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চেখে পড়ে গোলাপের বাগান। কমপক্ষে দুই দশক আগে থেকে শুরু হওয়া গোলাপের আবাদ এখন অন্যসব মৌসুমি ফসলের জায়গা দখল করে নিয়েছে।
সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে কুঁড়ি, ফুল ও গাছের বেশ ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন চাষিরা। গোলাপ উৎপাদনের প্রধান মৌসুম শীতকাল। তাই সবাই এখন ব্যস্ত নতুন চারা রোপণ ও পুরনো গাছের পরিচর্যায়।
প্রতি সন্ধ্যায় নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় শুরু হয় ফুল বেচাকেনা। মূলত স্থানীয় পাইকাররাই ফুলগুলোকে পৌঁছে দেন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায়। বিক্রেতাদের দাবি, দেশের অন্যান্য স্থান থেকে আরও বেশি ক্রেতা আসলে মধ্য স্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য অনেকটা কমে যেত।
প্রতিক্ষণ/এডি/বিএ